ঈদ যতো ঘনিয়ে আসছে ততোই উত্তাপ বাড়ছে মাংসের বাজারে। বিশেষ করে গরুর মাংস আবারও চলে যাচ্ছে নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে। এতদিন ভরসা ছিল রাজধানীর শাহজাহানপুরের খলিল গোস্ত বিতান। তিনিও এবার বাড়াতে বাধ্য হলেন মাংসের দাম। শাহজাহানপুরের খলিলের দোকানেও ১০০ টাকা বেড়ে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৯৫ টাকা কেজিতে।
এর কারণ হিসেবে হাটে গরুর দাম বাড়ার কথা বলছেন তিনি। অন্যদিকে বাজারেও এক কেজি মাংসের জন্য গুনতে হচ্ছে ৭৮০ টাকা পর্যন্ত। বাজারের চেয়ে দাম কিছুটা কম বলে উপচে পড়া ভিড় ছিল খলিল গোস্ত বিতানে।
পবিত্র রমজান মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত ৫৯৫ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিলেন দোকানের মালিক মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। খলিল গোস্ত বিতানে রোজার প্রথম দিন থেকে তিনি ওই দামে মাংস বিক্রি শুরু করেন। তবে ১০ রোজা শেষ হওয়ার আগেই মাংসের দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
হঠাৎ করে কেজিতে ১০০ টাকা বাড়ায় ক্রেতাদের চোখেমুখে ছিল হতাশা। একটা সময় কম দামে মাংস বিক্রির জন্য হত্যার হুমকিও পেয়েছিলেন খলিলুর রহমান। এবার দাম বৃদ্ধির কি কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, গরুর হাট চড়া তাই বাড়াতে হয়েছে দাম।
খলিলুর রহমান বলেন, ‘কোনো হুমকি নয়, গরুর দামটা অতিমাত্রায় বাড়তি। এ জন্য বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। আসলে আমরা চেয়েছিলাম গরুর মাংসের কেজি ৫০০ টাকা করে বিক্রি করতে। এটা এখনো সম্ভব। সরকার যদি শুধু ১০ দিনের জন্য ভারতীয় গরু আমদানির অনুমতি দেয়, তাহলে ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি করা সম্ভব।’
রাজধানীর অন্যান্য বাজারেও একই অবস্থা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজিতে। কয়েকজন ক্রেতা বলেন, এই দাম তো মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। এ বিষয়ে সরকারের তদারকি করা উচিত।
তবে খাসির মাংসের দামে নেই তেমন কোনো পরিবর্তন। বিক্রি হচ্ছে আগের সেই ১২০০ টাকা কেজিতে।
Leave a Reply